Health & Wellness

উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপের অবস্থাকে হাইপারটেনশন বলা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ জানবার একমাত্র উপায় হলো নিয়মিত রক্তচাপ মাপা। রক্তচাপ পরিমাপ করা হয় দুটি সংখ্যা দ্বারা।
☘️একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্ত চাপ ‘120 / 80 mmHg’ – এর আশপাশে থাকে।
120/80 mmHg এর প্রথম সংখ্যাটি, ‘120’ সিস্টোলিক রক্তচাপকে বোঝায়। মানে আপনাদের ভাষায় উপরের প্রেসার।
দ্বিতীয় সংখ্যা, অর্থাৎ ’80’ হল ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। আপনাদের ভাষায় নিচের প্রেসার।
শারীরবৃত্তীয় কারনে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাই একজনের ক্ষেত্রে যা কম বা বেশী, অন্যজনের ক্ষেত্রে সেটি স্বাভাবিক হতে পারে। 90/60 mmHg থেকে 120/80 mmHg – এই সীমার মধ্যে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়।
⭕তাই ঘবাড়ানোর কারন নেই যে ১২০ আর ৮০ মানে এইটাই থাকতে হবে। আর দিনের বিভিন্ন সময় রক্তচাপের ভিন্নতাও পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তাই সকালে মেপে পেলেন ১২০, বিকেলে ১২৫. এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
⭕ প্রতিদিন দুই তিন বেলা করে রক্তচাপ মাপার ও প্রয়োজন নেই। গ্রামের পল্লীচিকিতসক বা ফার্মসির লোক দারা মাপানোও যৌক্তিক নয় সবসময়।
⭕ যখনি প্রেসার মাপবেন তখনি তা লিপিবদ্ধ রাখবেন খাতায়। আর আপনি অসুস্থ টের পাইলে ওষুধ খাবেন আর না পাইলে খাবেন না এইসব পরিহার করুন।
🎯সাধারণ ভাবে কারোর উচ্চ রক্তচাপ আছে এটা বলা যায় যখন –
👉একজন পূর্ণবয়স্কের রক্তচাপের মাত্রা 140/90 mmHg এর বেশী থাকে।
👉একজন আশি বছর বা তার বেশি বয়স্কের রক্তচাপ 150/90 mmHg এর বেশি থাকে।
🎯রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ:
১. খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ করা।
২. অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় মদ্যপান করা।
৩. শরীরের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি।
৪. ধূমপান।
৫. পর্যাপ্ত শাকসবজি এবং ফলমূল না খাওয়া।
৬. রাত্রে পর্যাপ্ত না ঘুমোনো (৬-৮ ঘন্টা)।
৭. অতিরিক্ত চা , কফি বা ক্যাফিন-যুক্ত পানীয় সেবন।
৮. পরিবারের সদস্য যেমন মা, বাবা, ভাই, বোনের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা থাকা।
৯. যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করা।
১০. বয়স ষাট থেকে পঁয়ষট্টির উর্ধ্বে থাকা
Social sharing

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *