Health & Wellness

স্ট্রোক

🎯 Stroke#স্ট্রোক🎯

শীত কাল। মধ্যরাত্র বা তার একটু পরের দিকেই স্ট্রোক এর ঝুকি বেড়ে যায়। তাই আবারো স্ট্রোক সমন্ধে কিছু জেনে রাখার দরকার।

👉আপনি কি জানেন আপনার বাবা মা স্ট্রোক এ আক্রান্ত হয়েছে কিনা?
👉আপনি কি জানেন স্ট্রোক এ লক্ষন কি কি?
👉আপনি কি জানেন স্ট্রোক এর চিকিৎসা আদৌ আছে কিনা?

⚠️যদি না জানেন তাহলে সত্যি ই আপনি অনেক দুর্ভাগ্যবান। কেনোনা শুধু এই অল্প কিছু কথা না জানার কারনে আপনার বাবা মা ইভেন আপনিই আটকা পরতে পারেন পংগুত্বের ফাদে।

⛔হা আমরা এক শ্রেনীর মানুষ আছি যারা জানি কিন্তু ভূল। মারাত্মক ভূল।
❌হঠাৎ মুখ বেকে গেলে বলি নাগের বাতাস
❌এক পাশ অবশ হলে জ্বিনের আসর
❌মাথা ঘুড়িয়ে ব্যালেন্স এর সমস্যা হলে শরীরে স্যালাইন এর অভাব
❌কথা জড়িয়ে আসলে শরীর দুর্বল কখনোও টাইফুড ধরা খাইছিলো সেইটার ধাক্কা।

⛔চলে উঝার ঝারা, কবিরাজের লাঠি বাড়ি, ডাক্তার জাহাংগরের কৌটা আর টাইফুডের ১৪ দিন ইঞ্জেকশন।

👉এই কি অবস্থা?

আসুন একটু সতর্ক হই, জানি, এবং জেনে ব্যাবস্থা নিতে শিখি।

✅জাস্ট বেসিক লক্ষন গুলো জানুনঃ
১. মুখ বেকে যাওয়া
২. হাতে শক্তি কম বা অবশ হয়ে যাওয়া
৩. পা অবশ বা শক্তি কম পাওয়া
৪. কথা জড়ায় এ আসা

🔥মাঝে মাঝে এইগুলো অল্প সময়ের জন্যে থেকে আপনাকে মিসড কল দিয়ে যায়। আপনি আমলে নিলেন না তো বিছানার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেলেন ভবিষ্যতে।

✅এখন জানলেন এবং বুঝলেন তারপর কি করবেন?

১. সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে যদি আসতে পারা যায় সঠিক জায়গায় তবে একটা দামি বাট ইফেক্টিভ ইঞ্জেকশন রক্তের শিরায় দিলে অনেকাংশেই প্যারালাইজড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২. আর যদি না আসা সম্ভব হয় এই সময়ের মধ্যে তবে কিছু ওষুধ আর সেই সাথে নিয়ম কানুন আর কিছু কারন আছে সেইগুলির চিকিৎসা করার মাধ্যমে অনেক টুকু ভালো ও দ্রুত ভালো হওয়া যায়।

৩. ব্রেইন স্ক্যান করে দেখা গেলো রক্ত নালী ব্লক হয়ে স্ট্রোক হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হয়েছে। যার সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা এইখানেই শেষ নয়।

❌দেখা যায় আমাদের দেশে মাথার একটা স্ক্যান করে যেই দেখা যায় স্ট্রোক সেই কিছু ওষুধ, ব্যায়াম আর বাসায় গিয়ে ভালোমন্দ খাওয়ার উপদেশ দিয়েই ক্ষান্ত।

👉কিন্তু তা কি সঠিক?

মোটেও না। আপনাকে অবশ্যই এর কারন বের করে তার চিকিৎসা কররে হবে। না হয় বার বার স্ট্রোক হবে। পৃথিবীর কোন কিছুই কারন ছাড়া হয়না।

এইরুপ একটা কমন কারন হলো গলার রক্তনালী গুলো ব্লক হয়ে যাওয়া প্ল্যাক জমে। সেইখান থেকে কিছু অংশ ছুটে গিয়ে স্ট্রোক করে। বা পুরো ব্লক হয়ে ব্রেইনের ভিতর অনেক সময় স্ট্রোক হয়। তাই, আমাদের স্ক্যান করে তা দেখতে হবে হবেই।
✔️ তারপর প্রয়োজনে সেইখানে রিং পরিয়ে দিতে হবে যেমন টা হার্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যথায় আবারো হবে।
আর এইগুলো যদিও আমাদের দেশে সব জায়গায় সম্ভন না। কারন সেই ফ্যাসিলিটি নেই। তবে যেসব সেন্টার এ সম্ভব সেইখানে অবশ্যই সময় মতো পৌছালে স্ট্রোক এর সঠিক চিকিৎসা সম্ভব।

⭕তাহলে এই কথা গুলো বলার মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনার মূল টার্গেট থাকবে লক্ষন দেখার ৪.৫০ ঘন্টার মধ্যেই স্ট্রোক সেন্টার এ আসা। আর চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে তার কারন এর চিকিৎসা ও করা হয়।

Social sharing

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *