ঔষধ সেবনকারী হিসেবে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
✔️এইগুলি বলার পেছনে কারন হলো যে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি দাবি রাখে তাদের ঔষধ বিশ্বমানের এবং ইউএসএ, অমুক তমুক দেশে রপ্তানি হয়। কথা সত্য। কিন্তু ঔষধ বানানোর প্ল্যান্ট ম্যাক্সিমাম ই ভিন্ন। দেশের জন্যে একটা বিদেশিদের জন্যে আর একটা। বিদেশিরা উনাদের কাছে বানিয়ে নিয়ে যান লাইক গার্মেন্টস এর শিল্পের মতো।
✔️ম্যাজরিটি মেডিসিন এর কোয়ালিটি বিলো পার। কিছু লোকাল কোম্পানি আছে যা কিনা বোতল কোম্পনি নামে পরিচিত।
✔️অনেক বহুল প্রচলিত মেডিসিন পুরান ঢাকায় মোড়ক প্লাল্টে বিক্রি হয়, তৈরি হয় নকল।
✔️দেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার রকমের ওষুধ তৈরি হয়। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ্য আছে সরকারের
✔️বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিএইচও) এর তথ্য অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজারে যে ওষুধ বিক্রি হয় তার শতকরা ১৫ ভাগ ওষুধ নিম্নমানের, ভেজাল বা নকল।
✔️ঔষধ এর দাম কম মানেই মন্দ ঔষধ নয়।
⭕তাই যা অনুসরণ করতে পারেন:
1. ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ি ঔষধ নিবেন। প্রশ্ন থাকলে আবার এসে ডাক্তার কে জিজ্ঞাসা করুন
2. দীর্ঘ মেয়াদি কোন ঔষধ পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার কে প্রশ্ন করুন। কারন জানুন।
3. কেনার সময় মেয়াদ দেখুন
4. নাম মিলিয়ে নিন ভালো করে
5. কাছাকাছি নাম থাকলে ভালো করে খেয়াল করুন
6. ওষুধের প্যাকেটের গায়ে যে সিল থাকে সেটি ভাল করে দেখুন।
7. ওষুধের রং, আকার, গঠন নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা খেয়াল করুন ঔষধ খোলার পর
8. ওষুধের দাম আপনার কাছে অসম্ভব কম বা বেশি হলে সেটি সন্দেহের একটি কারণ।
9. প্যানাসিয়া ডট লাইভ নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি আপনার ওষুধটি যাচাই করতে পারবেন।
⭕বাংলাদেশ এ একজন শিক্ষক একটি গবেষনা করেছিলেন , মহাখালী তে কিছু ঔষধ এর দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের ঔষধ নামে আপনারা যাকে বোঝেন। তা হলো ২০ মিলিগ্রাম ওমিপ্রাজল।
গবেষনায়া দেখা গেছে, ২০ মিলিগ্রাম ওমিপ্রাজল এর মধ্যে সর্বোচ্চ এক কোম্পনির পাওয়া গেছে ১১ মিগ্রা। আর বাকি সব ১০ মি গ্রা এর নিচে। আর সর্বনিম্ন পাওয়া গেছে ৫ মিগ্রাম।
যেখানে আমাদের বই পুস্তকে লিখা থাকে ওমিপ্রাজল এক বেলা। ইভেন লাগেও না। সেইখানে আমাদের লোকজন দুই বেলা ৪০ মিগ্রা করে খেয়েও কিছু হচ্ছেনা।
তাই সতর্কতাই মূখ্য।
Dr. Sahariar Ruvon